বৃহস্পতিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২০

শুভঙ্করের ফাঁকি

শুভঙ্করের ফাঁকি

কন্যা তুমি ধর্ষিতা হও এটাই সমাজ চায়!
বলতে পারো তা না হলে বিচার কি সে পায়?
হিংস্র দানব জন্মে মানব সুযোগ পেলেই হায়
বায়না ধরে বাধ্য করে খুবলে তোরে খায়।

পশুর সাথে আজ সমাজে দারুণ বুঝি মিল
পথে ঘাটে দিনে রাতে চলাই যে মুশকিল !
হিংস্র বলে এমন চলে দারুণ দাপট তার
কার ইশারায় কেমন করে পায় সে বল পার।
কিসের টানে সবাই মানে পায় গো তারে ভয়
ইচ্ছেমতোই ঘুরে বেড়ায় বিচার কি আর হয়?

গর্ভগৃহে বাস

গর্ভগৃহে বাস 

গর্ভের সন্তান কি জানে,
পৃথিবী নামক মানব আবাস স্থলে সে আসবে কবে?
গর্ভগৃহ ছেড়ে জীবনে ভেলায় ভাসতে সে বাধ্য হবে ?

সে কি ভাবতে থাকে,
এটাই তার জীবনের সমাপ্তি!
পৃথিবীকেন্দ্রিক তার জীবনকথার ব্যাপ্তি! 
পৃথিবীর জন্য নিজেকে মানিয়ে নিতে এখন গর্ভগৃহ বাস!
পৃথিবীর সে জীবনে কেমন হবে তার আগামীর পথচলা ?"

ঠিক জানি না!
হয়তো সে ভাবে, গর্ভগৃহ ছাড়া আর কোন জীবনই নেই!

আসবে কবে

আসবে কবে
 
তোদের হাত খরচের খরচাপাতি হাজার খানেক,
মোদের ঘাম জড়ানো শ্রমেই যে পার সপ্তাহ চারেক।
তোদের এসি ঘরে নাস্তাভরা টেবিলটাতে কুকুর যে খায়,
আজো তারা ঘাম জড়িয়ে দিনের শেষে ভাতের সাথে মরিচ কি পায়?
তোদের মেদ জমা ঐ শরীর গড়ে খাবার খেয়ে জিমের পড়ে,
মোদের চামড়া মেশা মাংসগুলো হাড় ভংগা শ্রমেই গড়ে।

তোদের গেট দারোয়ান কুকুর কাদে ভিক্ষা দিতে,
মোদের গা জড়িয়ে কুকুর ঘুমায় কাঁপন ধরা রাতের শীতে।
তোদের কাছে দিনে রাতে হাত পেতে ঐ ফকির কাঁদে,
মোদের তরে ঠাট্টা করে ফকির কাদে দিনের বাদে।
তোদের জুতার ফিতায় রক্ত লোকায় নানা রঙে,
মোদের রক্ত শোকায় রোগের রূপের নানান ঢঙে।

স্বার্থপর

স্বার্থপর  

যত্ন নিয়ে কষ্ট সয়ে গর্ভে করে ধারণ,
প্রসব ব্যথা সহ্য করে জন্ম দিলি, বলতে কি তা বারণ? 
লালনপালন করার ভার তোর ঘাড়েতে ন্যস্ত,
নিজের কথা ভুলে গিয়ে থাকতি তাতে ব্যস্ত।
নির্ঘুম রাত পার যে হতো দিনের পরে দিন,
টাকায় কি আর হয়রে শোধ মানব গড়ার ঋণ?
কটু  কথার সাথে ব্যথা সহ্য করে যাস,
তোর মায়াতে ক'জন বুঝে কখন কি তুই খাস?

সে জন কই

সে জন কই

দুঃখ পাড়ায় জন্ম আমার সুখ যে কোথায় পাই,
সুখের খুঁজে মগ্ন থেকে দুঃখ ভুলে যাই।
পিলখানার ঐ লাশের স্তুপে কাঁদছে বাবা মা,
দেশ মায়ায় তারাই বুঝি বাড়িয়েছিল পা।

সাগর রুনি হারিয়ে গেলো ছুট্ট সোনা কাঁদে,
খবর কি কেউ বলতে পারো খাবার কে তার রাঁধে?
রাস্তা ঘাটে বাসের চাকায় ট্রেনের ছোয়ায় শত
একে একে মরছে কত বাড়ছে মনের ক্ষত।

প্রতীক্ষা

প্রতীক্ষা 

মন খারাপের দেশে মোরা মনের মতই চলি,
যখন তখন যেমন তেমন ইচ্ছে মতই বলি।
পরের ধনে স্বপ্ন খুঁজি নিজের মত করে,
বিলাসবহুল বাগানবাড়ি পরের ধনেই গড়ি।
কাজের মাঝে জানি শুধুই ফাঁকি দেয়ার তাল,
আম জনতা চোখের জলে দিচ্ছে পাড়ি কাল।
ব্রিটিশ নাকি করেছে শাসন দু'শো বছর ধরে,
পাক বাহিনীও পালিয়ে গেছে আড়াই দশক পরে।
দশক পাঁচেক হল মোদের স্বাধীন জেনে চলার,
দল বদলের পালায় পরে নেই যে কিছু বলার।

মনোভব

মনোভব

হাওয়ার দোলায় ভাসবো দু'জন নীল আকাশে তলে,
আলতো করে হাতটা কি মোর ধরবে তুমি গল্প বলার ছলে?
খোঁপার ফুলে হাতের বালায় খোঁজবে কি মোর ঘ্রাণ?
নয়ন বোজে মনের সুখে তোমার তরে বিলিয়ে দিবো প্রাণ।

বাতাস বয়ে আনবে নাতো মেঘজমা তার সাজ,
দিচ্ছি কথা আসবো আমি ভুলবো লোকলাজ।
যাবো বলে ঠিক করেছি পরবো নাতো ফাঁদে?
দিক জোড়া ঐ আকাশটা যে ইচ্ছে হলেই কাঁদে।

প্রার্থনা

প্রার্থনা

প্রভু তুমি মহান!
সপ্রশংসা ও পবিত্রতা ঘোষণা করছি তোমারই।

তোমারই জন্য সিজদাবনত, তোমাতেই বিশ্বাসী, তোমার নিকটেই আত্মসমর্পণকারী, তুমিই আমার প্রভু।

আমার মুখমন্ডল তাঁর উদ্দেশ্যে মাটিতে ঠেকাই, যিনি আমায় সৃষ্টি করেছেন, আকৃতি দান করেছেন এবং আকৃতি সুন্দর করেছেন। চক্ষু ও কর্ণকে যথাযথ স্থানে প্রতিস্থাপন করেছেন। সুনিপুণ স্রষ্টা তুমি কত মহান প্রভু!

আমার কম ও বেশী, ছোট বড়, পূর্বের ও পরের, প্রকাশিত ও গুপ্ত সকল প্রকার গোনাহকে ক্ষমা করো,

আমার দেহ ও মন তোমার উদ্দেশ্যে মাটিতে মাথা ঠেকায়,
আমার হৃদয় তোমার উপরই বিশ্বাসী।
আমি আমার উপর তোমার সকল অনুগ্রহ স্বীকার করছি। 

তোমার সপ্রশংসা ও পবিত্রতা ঘোষণা করি,
তুমি ছাড়া অন্য কোন সত্য মাবুদ নেই, প্রতিপালক নেই।

আমার অপ্রকাশ্য ও প্রকাশ্য পাপসমূহ ক্ষমা করো,

আমার হৃদয় ও রসনায়, কর্ণ ও চক্ষুতে, ঊর্ধ্বে ও নিম্নে, ডানে ও বায়ে, সম্মুখে ও পশ্চাতে জ্যোতি প্রদান করো, আমার আত্মায় জ্যোতি দাও এবং আমাকে অধিক অধিক নূর দান করো

নিশ্চয় আমি
    তোমার সন্তুষ্টির ওসীলায় তোমার ক্রোধ থেকে,
    তোমার ক্ষমাশীলতার ওসীলায় তোমার শাস্তি থেকে
      এবং
   তোমার সত্তার ওসীলায় তোমার আযাব থেকে
আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

আমি তোমার উপর তোমার প্রশংসা গুনে শেষ করতে পারি না, যেমন তুমি নিজের প্রশংসা নিজে করেছ।

তুমি আমায় ক্ষমা করো! ক্ষমা করো! ক্ষমা করো!

শান্তির ঘুম

শান্তির ঘুম

বেঁচে থেকে ভালো নেই,
    পড়া শেষে কাজ নেই, জীবনের দাম নেই,
    পরিবার থেকে নেই, মেয়েটির হাসি নেই,
    ছোটাছুটি প্রাণ নেই, কারো স্বামী থেকে নেই,
    ভাই-বোন দেখা নেই, বাবা-চাচা মিল নেই,
    মামা-খালা আদরে তাদেরওতো দেখা নেই,
    কোথাও যে নীতি নেই, কারো মনে ভীতি নেই,
    সুবাসিত ফুলেদের আজ যেন ঘ্রান নেই,
    পরিবারে কেন যেন মায়া-টান-প্রান নেই!

বেঁচে থেকে ভালো নেই,
    শিক্ষার ধার নেই, জ্ঞানীদের ঘুম নেই,
    সমাজের হাল নেই, ছোট-খুকুর প্রাণ নেই,
    স্কুলে নীতি নেই, কলেজেতে রীতি নেই,
    মাদ্রাসা-মসজিদ-মন্দির-গির্জায়
    নীতিকথায় ভীতি নেই, ন্যায়ের সাথী নেই,
    মায়েদের ঘুম নেই, গরীবের ঠাই নেই,
    অভাগীর সাথী নেই, সমাজের লাজ নেই,
    বুয়া যেনো মেশিনের, কাজে তার ছুটি নেই!

শেখ হাসিনা

শেখ হাসিনা

তারা হয়ে ভেসেছিলে রাতের আকাশে,
আজ তা'রি নাম যে মিশে আছে বাতাসে।
শত ব্যথা সয়ে নিয়ে বেঁচে আছো আজো,
দেশবাসী সব জানে দেশ তরে সাজো।
মা'হয়ে বসে আছো খুলে সব দোর,
সুদিনের দেখা পেয়ে ভুলিনি সে ভোর।

শেষ রাতে হারিয়েছো নিজ বাবা মা'কে,
কালো রাত ডেকে এনে জাতী বিপাকে।
দেশে ফিরে হয়নিতো নিজ ঘর দেখা,
ধীরে হেটে হয়েছে যে কত কিছু শেখা।
গ্রেনেডের আঘাতে যে নিতে চায় প্রাণ,
আজো নাকে ভাসে সেই একুশের ঘ্রাণ। 
দেশবাসী দিশেহারা আজো তুমি হীনা
মানবতার মা'যে তুমি শেখ হাসিনা।

শুভঙ্করের ফাঁকি

শুভঙ্করের ফাঁকি কন্যা তুমি ধর্ষিতা হও এটাই সমাজ চায়! বলতে পারো তা না হলে বিচার কি সে পায়? হিংস্র দানব জন্মে মানব সুযোগ পেলেই হায় ...