স্বার্থপর
যত্ন নিয়ে কষ্ট সয়ে গর্ভে করে ধারণ,
প্রসব ব্যথা সহ্য করে জন্ম দিলি, বলতে কি তা বারণ?
লালনপালন করার ভার তোর ঘাড়েতে ন্যস্ত,
নিজের কথা ভুলে গিয়ে থাকতি তাতে ব্যস্ত।
নির্ঘুম রাত পার যে হতো দিনের পরে দিন,
টাকায় কি আর হয়রে শোধ মানব গড়ার ঋণ?
কটু কথার সাথে ব্যথা সহ্য করে যাস,
তোর মায়াতে ক'জন বুঝে কখন কি তুই খাস?
দুঃখ গুলো পালিয়ে বেড়ায় চোখের জলে তোর,
মনের কোনে দুঃখ চেপে রাত যে করিস ভোর।
ভুগলে রোগে করুণ সুরে ডাকতি মহান প্রভু,
চোখের জলে মুক্তি খোঁজে হাসতি নাতো কভু।
মা'তোর কথা ভেবে ভেবে আসছে চোখে জল,
আমায় ছেড়ে কবর ঘরে আছিস কেমন বল?
বাবার তরে ছিলাম নাকি আমি পাগলপারা,
দেখতে এসো কেমন করে আছি তোদের ছাড়া?
কবর ঘরে তোমরা সবে সুখে থাকো মনে প্রাণে চাই,
তোদের কথা ভাবলে পরে সুখ যে মনে পাই।
ভাই বোনে তো হয়না দেখা ছিলাম মোরা আট,
ছুটাছুটি এ ঘর ও ঘর, চলতো, এক টেবিলেই পাঠ।
রূপের রাণী রূপ কুমারী মাত্র দু'টি বোন,
ঘরের পানে তোরাই ছিলি পাতে যেমন নুন।
এক ঘরেতে ছিলাম সবে ভাই যে মোটে ছয়,
খেলাধুলায় যেথায় যেতাম হতো মোদের জয়।
তোদের ভুলে সবাই এখন থাকি একা একা,
বছর ঘুরে পথের মুড়ে হটাৎ যে হয় দেখা।
নাড়ী ছেঁড়ার টানে আজো দুঃখ মনে পাই,
সবার কথা ভেবে ভেবে চোখের জলে গাল ভাসিয়ে যাই।
সব হারিয়ে আজ খোঁজে তাই কোনটা নিজের ঘর,
দিনে রাতে ঘরের টানে মনে প্রাণে সবাই স্বার্থপর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন