ডায়াবেটিস মেলাইটাস বা বহুমূত্র রোগ
আমাদের অনেকেরই ধারনা ডায়াবেটিস একটি নতুন রোগ কিন্তু সত্যি বলতে কি এটি মোটেও নতুন রোগ নয়। ৭০ খ্রীস্টাব্দে কিছু রোগীর বার বার প্রস্রাবের বেগ আসা এবং বার বার পিপাসা লাগার অনুভূতি পর্যালোচনা করে তখনকার কিছু চিকিৎসা বিজ্ঞানী এর নামকরন করেন ডায়াবেটিস যার বাংলা অর্থ হল অধিক প্রবাহ জনীত রোগ। এরপর দীর্ঘকাল অতিবাহীত হয়ে যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞান আর ও উন্নতির দিকে অগ্রসর হয়। ১৬৭৫ খ্রীস্টাব্দে থমাস উইলিস নামক একজন চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডায়াবেটিস রোগীদের প্রস্রাব নিয়ে পর্যালচনা করে তাতে মিস্টি স্বাদের (গ্লূকোজের উপস্থিতি) খোঁজ পান আর তখন ডায়াবেটিস শব্দটির সাথে মেলাইটাস বা মিস্টি শব্দটি দিয়ে এর নতুন নামকরন করেন ডায়াবেটিস মেলাইটাস।
ডায়াবেটিস কি?
মানব শরীরের অগ্নাশয় বা পেনক্রিয়াস নামক গ্রন্থির বিটা নামক জীবকোষ থেকে নিঃশৃত ইনসুলিন নামক হরমোনের অভাবে অথবা ইনসুলিন এর কার্যক্ষমতা লোপ পাওয়ার কারনে রক্তে গ্লূকোজের পরিমান সার্বক্ষনীক ভাবে স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশী থাকাকে ডায়াবেটিস বলা হয়। অভুক্ত অবস্থায় (৬-৮ ঘন্টা কোন খাবার না খেয়ে খালি পেটে থাকা অবস্থায়) রক্তে গ্লূকোজের পরিমান ৩.৫-৫.৫ মিলি মোল পার লিটার এবং খাওয়ার ২ ঘন্টা পর ৬ - ৭.৮ মিলি মোল পার লিটার থাকলে তা স্বাভাবিক। যে কোন সময় (অভুক্ত অবস্থায় বা খাওয়ার পর) যদি রক্তে গ্লকোজের পরিমান ৫.৫ মিলি মোল পার লিটার হয় তাও স্বাভাবিক, ডায়াবেটিস হওয়ার কোনই সম্ভাবনা নেই। যদি ৫.৬ - ১১ মিলি মোল পার লিটার এর মধ্যে থাকে তবে তাকে প্রি-ডায়াবেটিস বলা হয়। যার মানে হল ডায়াবেটিস রোগ নয়, আবার স্বুস্থ্য সবল স্বাভাবিক ডায়াবেটিসমুক্ত ও নন, এ দুয়ের মাঝামাঝি পর্যায়ের। সতর্ক ভাবে থাকলে পারলে স্বুস্থ্য থাকবেন আর অসতর্ক ভাবে চললে ডায়াবেটিস রোগী হয়ে যাবেন। আর যদি ১১.১ মিলিমোল-পার-লিটার বা তার চেয়ে বেশী রক্তের গ্লূকোজে পাওয়া যায় তবে তিনি নিশ্চিত ডায়াবেটিস রোগে ভুগছেন।
ডায়াবেটিস রোগ হওয়ার কারন কি?
অনেক কারনে ডায়াবেটিস রোগ হতে পারে। পর্যায়ক্রমে কারনগুলো জেনে নেয়া যাকঃ- (১) ইনসুলিন স্বল্পতা (২) ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়া। এ দুটিই প্রধান কারন হিসাবে সর্বজন কতৃক সীকৃত। ইনসুলিন স্বল্পতা বলতে বোঝায় শারীরের প্রয়োজনের তোলনায় কম ইনসুলিন তৈরি হওয়া।পেনক্রিয়াস বা অগ্নাশয় এ থাকা অনেক ধরনের জীবকোষের মধ্যে বিটা জীবকোষ থেকে ইনসুলিন তৈরি হয়। কোন কারনে বিটা জীবকোষ ধংশপ্রাপ্ত হলে ইনসুলিন তৈরি কম হয়। ফলে ইনসুলিনের স্বল্পতা দেখা দেয় যা ডায়াবেটিস হওয়ার অন্যতম প্রধান কারন। ইনসুলিনের কার্যকরী কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ার জন্য ও ডায়াবেটিস হয়। তৈরি হওয়া ইনসুলিন ধমনীর রক্তদ্বারা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গে সংরক্ষিত ইনসুলিন গ্রাহককোষ বা রিসিপসনিষ্ট সেল এর কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ায় শরীর ইনসুলিন ব্যবহার করতে পারে না। এ অবস্থাকে বলে ইনসুলিন রেজিসটেন্স। এটিই ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারন। অন্যান্য কারনগুলোর মাঝে (৩) লিভার কতৃক অতিরিক্ত গ্লূকোজ উৎপাদন। (৪) রক্তে গ্লূকোজের পরিমান বেশী থাকায় গ্লূকোজ টক্সিসিটি বা গ্লূকোজ জনিত বিষক্রিয়ায় অগ্নাশের ইনসুলিন নিঃসারক বিটা জীবকোষের ধ্বংশপ্রাপ্ত হওয়া। (৫) ক্ষুদ্রান্ত থেকে জি.এল.পি-১ এবং এমাইলিন কম পরিমানে তৈরি হওয়া। (৬) গ্লূকাগন নামক হরমোন বেশী তৈরি হওয়া। এখন পর্যন্ত আবিস্কার হওয়ার রোগতত্ত্ব অনুযায়ী এগুলোই ডায়াবেটিস হওয়ার কারন হিসাবে চিহ্নিত। চিকিৎসা সাস্ত্রের উন্নতি মাধ্যমে আরও নতুন নতুন কারন অদূর ভবিষ্যতে জানা যাবে।
ডায়াবেটিসের প্রকারভেদ বা শ্রেনীবিভাগঃ-
আমাদের অনেকেরই ধারনা ডায়াবেটিস একটি নতুন রোগ কিন্তু সত্যি বলতে কি এটি মোটেও নতুন রোগ নয়। ৭০ খ্রীস্টাব্দে কিছু রোগীর বার বার প্রস্রাবের বেগ আসা এবং বার বার পিপাসা লাগার অনুভূতি পর্যালোচনা করে তখনকার কিছু চিকিৎসা বিজ্ঞানী এর নামকরন করেন ডায়াবেটিস যার বাংলা অর্থ হল অধিক প্রবাহ জনীত রোগ। এরপর দীর্ঘকাল অতিবাহীত হয়ে যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞান আর ও উন্নতির দিকে অগ্রসর হয়। ১৬৭৫ খ্রীস্টাব্দে থমাস উইলিস নামক একজন চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডায়াবেটিস রোগীদের প্রস্রাব নিয়ে পর্যালচনা করে তাতে মিস্টি স্বাদের (গ্লূকোজের উপস্থিতি) খোঁজ পান আর তখন ডায়াবেটিস শব্দটির সাথে মেলাইটাস বা মিস্টি শব্দটি দিয়ে এর নতুন নামকরন করেন ডায়াবেটিস মেলাইটাস।
ডায়াবেটিস কি?
মানব শরীরের অগ্নাশয় বা পেনক্রিয়াস নামক গ্রন্থির বিটা নামক জীবকোষ থেকে নিঃশৃত ইনসুলিন নামক হরমোনের অভাবে অথবা ইনসুলিন এর কার্যক্ষমতা লোপ পাওয়ার কারনে রক্তে গ্লূকোজের পরিমান সার্বক্ষনীক ভাবে স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশী থাকাকে ডায়াবেটিস বলা হয়। অভুক্ত অবস্থায় (৬-৮ ঘন্টা কোন খাবার না খেয়ে খালি পেটে থাকা অবস্থায়) রক্তে গ্লূকোজের পরিমান ৩.৫-৫.৫ মিলি মোল পার লিটার এবং খাওয়ার ২ ঘন্টা পর ৬ - ৭.৮ মিলি মোল পার লিটার থাকলে তা স্বাভাবিক। যে কোন সময় (অভুক্ত অবস্থায় বা খাওয়ার পর) যদি রক্তে গ্লকোজের পরিমান ৫.৫ মিলি মোল পার লিটার হয় তাও স্বাভাবিক, ডায়াবেটিস হওয়ার কোনই সম্ভাবনা নেই। যদি ৫.৬ - ১১ মিলি মোল পার লিটার এর মধ্যে থাকে তবে তাকে প্রি-ডায়াবেটিস বলা হয়। যার মানে হল ডায়াবেটিস রোগ নয়, আবার স্বুস্থ্য সবল স্বাভাবিক ডায়াবেটিসমুক্ত ও নন, এ দুয়ের মাঝামাঝি পর্যায়ের। সতর্ক ভাবে থাকলে পারলে স্বুস্থ্য থাকবেন আর অসতর্ক ভাবে চললে ডায়াবেটিস রোগী হয়ে যাবেন। আর যদি ১১.১ মিলিমোল-পার-লিটার বা তার চেয়ে বেশী রক্তের গ্লূকোজে পাওয়া যায় তবে তিনি নিশ্চিত ডায়াবেটিস রোগে ভুগছেন।
ডায়াবেটিস রোগ হওয়ার কারন কি?
অনেক কারনে ডায়াবেটিস রোগ হতে পারে। পর্যায়ক্রমে কারনগুলো জেনে নেয়া যাকঃ- (১) ইনসুলিন স্বল্পতা (২) ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়া। এ দুটিই প্রধান কারন হিসাবে সর্বজন কতৃক সীকৃত। ইনসুলিন স্বল্পতা বলতে বোঝায় শারীরের প্রয়োজনের তোলনায় কম ইনসুলিন তৈরি হওয়া।পেনক্রিয়াস বা অগ্নাশয় এ থাকা অনেক ধরনের জীবকোষের মধ্যে বিটা জীবকোষ থেকে ইনসুলিন তৈরি হয়। কোন কারনে বিটা জীবকোষ ধংশপ্রাপ্ত হলে ইনসুলিন তৈরি কম হয়। ফলে ইনসুলিনের স্বল্পতা দেখা দেয় যা ডায়াবেটিস হওয়ার অন্যতম প্রধান কারন। ইনসুলিনের কার্যকরী কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ার জন্য ও ডায়াবেটিস হয়। তৈরি হওয়া ইনসুলিন ধমনীর রক্তদ্বারা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গে সংরক্ষিত ইনসুলিন গ্রাহককোষ বা রিসিপসনিষ্ট সেল এর কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ায় শরীর ইনসুলিন ব্যবহার করতে পারে না। এ অবস্থাকে বলে ইনসুলিন রেজিসটেন্স। এটিই ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারন। অন্যান্য কারনগুলোর মাঝে (৩) লিভার কতৃক অতিরিক্ত গ্লূকোজ উৎপাদন। (৪) রক্তে গ্লূকোজের পরিমান বেশী থাকায় গ্লূকোজ টক্সিসিটি বা গ্লূকোজ জনিত বিষক্রিয়ায় অগ্নাশের ইনসুলিন নিঃসারক বিটা জীবকোষের ধ্বংশপ্রাপ্ত হওয়া। (৫) ক্ষুদ্রান্ত থেকে জি.এল.পি-১ এবং এমাইলিন কম পরিমানে তৈরি হওয়া। (৬) গ্লূকাগন নামক হরমোন বেশী তৈরি হওয়া। এখন পর্যন্ত আবিস্কার হওয়ার রোগতত্ত্ব অনুযায়ী এগুলোই ডায়াবেটিস হওয়ার কারন হিসাবে চিহ্নিত। চিকিৎসা সাস্ত্রের উন্নতি মাধ্যমে আরও নতুন নতুন কারন অদূর ভবিষ্যতে জানা যাবে।
ডায়াবেটিসের প্রকারভেদ বা শ্রেনীবিভাগঃ-
(১) ইনসুলিন নির্ভরশীল ডায়াবেটিস মেলাইটাস বা টাইপ-১ ডায়াবেটিস।
(২) ইনসুলিন অনির্ভরশীল ডায়াবেটিস মেলাইটাস বা টাইপ-২ ডায়াবেটিস।
(৩) গর্ভকালীন বা জেসটেশনাল ডায়াবেটিস মেলাইটাস।
(৪) ডায়াবেটিস ইন ইমিউনো ক্রমপ্রোমাইজড পেসেন্ট বা রোগ প্রতিরোগ ক্ষমতা কমে যাওয়া রোগীর ডায়াবেটিস।
(৫) কারন ভিত্তিক ডায়াবেটিস যেমন-
(ক) অগ্নাশয়ের যে কোন রোগ
(খ) হরমোনের আধিক্য।
(#) হাইপার থাইরয়েডিজম থাইরোয়েড গ্রন্থির অসূখ
(#) কুশিং ডিজিজ এডরেনাল গ্রন্থির অসুখ
(#) এক্রোমেগালী পিটুইটারী গ্রন্থির অসুখ।
(গ) ঔষধ বা ক্যামিকেল, স্টেরোয়েড করটিকোস্টেরোয়েড, জন্ম নিয়ন্ত্রন বড়ির ব্যবহার।
(ঘ) বংশীয় বা জেনেটিক কারনে কম পরিমানে ইনসুলিন তৈরি হওয়া বা ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়া।
যাদের ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেশীঃ-
যাদের ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেশীঃ-
(১) বংশে কারও ডায়াবেটিস ছিল বা বর্তমানে আছে।
(২) মেদবহুল বা স্থুলকায় ব্যক্তি যাদের শরীরের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশী।
(৩) যারা কায়ীক পরিশ্রমে অভ্যস্থ নন।
(৪) যারা সারাক্ষন বসে বসে কাজ করেন যে কাজে শরীরের শক্তি বা ক্যালরী খুব কমপরিমানে খরচ হয়।
(৫) যারা দীর্ঘদিন ধরে স্টেরোয়ে জাতীয় ঔষধ ব্যবহারের করেন।
(৭) যারা অতিরিক্ত মানুষিক চাপ ও দুশ্চিন্তায় ভুগেন।
(৮) যে সকল মহিলা মৃতবাচ্চা প্রসাব করেছেন বা স্বাভাবিকের চেয়ে বড় ও অধিক ওজনের বাচ্চা প্রসব করেছেন।
(৯) ৪০ বছর বয়সের বেশী যে কোন কেউ,
(১০) যারা উচ্চ রক্ত চাপে ভোগেন, যাদের রক্তে চর্বির মাত্রার চেয়ে বেশী, যারা থাইরয়েড গ্রন্থের যেকোন রোগ এ ভুগছেন।
(১১) যে সকল মহিলা পলিসিসটিক অভারিয়ান সিনড্রম নামক অসুখে ভুগছেন।
(১২) যাদের শরীরের ওজন বিএমআই অনুযায়ী ৩০ বা তার চেয়ে বেশী সাথে উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন।
(১৩) যারা সারাক্ষন বসে বসে টিভি দেখতে থাকেন বা কিম্পিউটার বা ল্যাপ্টপে বসে গ্যামস খেলতে থাকেন
(১৪) যারা ফাস্টফুড জাতীয় খাবার অধিক মাত্রায় গ্রহন করেন।
(১৫) পুরুষ- কমরের পরিধি ১০২ সেন্টিমিটার এবং মহিলা- ৮৮ সেন্টিমিটার এর উপরে।
ডায়াবেটিসের লক্ষনঃ-
ডায়াবেটিসের লক্ষনঃ-
(১) ঘনঘন বা কিছুক্ষন পরপর বার বার প্রস্রাবের বেগ পাওয়া এবং প্রসাব করা।
(২) ঘনঘন বা কিছুক্ষন পরপর বারবার পিপাসা লাগা - এর কারন হল রক্তে ১০ মিলিমোল পার লিটারের অধিক গ্লূকোজ থাকায় তা কিডনীর ছাকন যন্ত্র বা নেফ্রন দিয়ে বের হয়ে যাওয়ার সময় সাথে করে পানি ও নিয়ে যায় ফলে রোগী পানিশুন্যতা বা ডিহাইডেশনে ভোগেন তাই বার বার কিছুক্ষন পরপর পানি পান করেন এবং রোগীর তৃষ্ণা মিটে না আর পানি পান করলে যে তৃপ্তি পাওয়া যায় রোগী সেই তৃপ্তি ওপান না।
(৩) অতিরিক্ত ক্ষুদা - প্রস্রাবের সাথে গ্লূকোজে বের হয়ে যাওয়ায় শরীরে ক্যালরীর অভাব ঘটে ফলে ক্ষুদাও বেশী লাগে ক্যালরীর অভাব পূরন করার জন্য।
(৪) ওজন কমে যায় - রক্তে প্রয়োজনের তুলনায় অধিক পরিমান গ্লূকোজ থাকা স্বত্তেও তা দেহকোষে শক্তির যোগান দিতে সক্ষম হয় না। দেহ কোষে শক্তি যোগান দিতে বাধ্য হয় শরীরে জমে থাকা চর্বি ও মাংসপেশী ফলে তাদের ক্ষয় হতে থাকে তাই শরীরের ওজন ধীরে ধীরে কমতে থাকে
(৫) অবসাধ বা ক্লান্তিবোধ প্রয়োজনীয় পরিমান ইনসুলিন না পেয়ে গ্লূকোজ দেহ কোষে প্রবেশ করতে পারে না। ফলে দেহকোষের কার্যক্ষমতা কমে যায় এবং রোগী ক্লান্তিবোধ করে।
(৬) চোখে ঝাঁপসা দেখা - চুখের পানি বা একুয়াছ হিউমার ঘন হয়ে যওয়ায় রোগী চুখে ঝাঁপসা দেখে।
(৭) শরীরের যে কোন ক্ষত শুকাতে অনেক দিন পর্যন্ত সময় লাগা।
(৮) কিছু দিন পরপর কোন কারন ছাড়াই চামরার নিচে বা লোমকুপের গুড়ায় পুজ হওয়া বা স্ট্যাফাইলোক্ককাল স্কিন ইনফেকশন বা ফারাংকুলসিস হয়।
(৯) পলিনিউরোপ্যাথি -হাতে পায়ে জ্বালা পুড়া করা, অবস অবস করা, ঝিন ঝিন করা
(১০) হৃদরোগ হওয়া।
(১১) প্রস্রাবে ইনফেকশন হওয়া।
(১২)যৌনাঙ্গে চুলকানী হওয়া।
(১৩) পুরুষের বেলায় যৌন দুর্বলতা হওয়া এবং মহিলাদের বেলায় কোন কারন ছাড়া গর্ভ নষ্ট বা বেশী ওজনের বড বাচ্চা জন্ম হওয়া, অনেকের ক্ষেত্রে বন্ধাত্ত হওয়া।
ডায়াবেটিস রোগ কিভাবে নিশ্চিত হবেনঃ- ডায়াবেটিস রোগ নিশ্চিত হওয়ার জন্য রোগের লক্ষনগুল ভালভাবে পর্যবেক্ষন করতে হবে, জানতে হবে পারিবারিক বা বংশীও রোগের ইতিহাস, ওজন ও উচ্চতা জেনে নিয়ে ঠিক করতে হবে বিএমআই সুচকের নিধারিত অবস্থান,এসকলের সমন্নয়ে যদি প্রাথমিকভাবে ধারনা করা ডায়াবেটিস রোগে ভোগতে পারেন তবে রক্তের কিছু পরিক্ষা করতে হবে। (১) Fasting and Random blood sugar: follow up by (2) Oral Glucose Tolerance Test .আধুনিক বিশ্বে সরাসরি HbA1C পরিক্ষা করে রোগ নির্ণয় করা হয়। আমাদের মত অনুন্নত দেশে এখনও এ পরিক্ষাটি রোগ নির্ণয়ের জন্য করা হয় না। ডায়াবেটিস রোগ নিশিত হওয়ার পর আর কিছু রক্তের পরিক্ষা করতে হয় তা কারন সহ জেনে নেইঃ- (১)Serum Creatinine অত্যন্ত জরুরী একটি পরিক্ষা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যে। অনিয়ন্তিত ডায়াবেটিস রোগের পার্শ্বপ্রতীক্রিয়া হিসেবে ধিরে ধিরে কিডনি বা রক্ত ছাকন যন্ত্র বা প্রস্রাব তৈরির যন্ত্র বিকল হয়ে যায়। যা Serum creatinine এর মাত্রা দেখে নিশ্চিত হওয়া যায়। আবার ডায়াবেটীস নিয়ন্ত্রের জন্য বহুল ব্যবহৃত মেটফরমিন নামক ঔষধ যা Serum creatinine স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশি থাকলে কিডনি বিকল হওয়ার সম্ভবনাকে বহুগুনে বাড়িয়ে দেয়। তাই Serum creatinine মাত্রা অবসই দেখেনিতে হবে এবং যদি এই মাত্র স্বাভাবিক এর চেয়ে বেশী হয় তবে কোন ভাবেই মেটফরমিন নামক ঔষধ ব্যবহার করা যাবেনা। (২)Fasting Lipid Profile -dyslipidemia নিশ্চিত হওয়ার জন্য এ পরিক্ষাও করে নিতে হবে। dyslipidemia থাকলে যেকোন সময় মস্থিকের, হৃদপিণ্ডের অসুখ, রক্ত নালিতে চর্বি জমে রক্ত নালি সংকোচন জনিত অসুখ হওয়ার সম্ভবনা বহু গূন বেড়ে যায়। (৩) ECG হৃদরোগ রোগ প্রথমিক ভাবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য এটি একটি কর্যকারি পরিক্ষা।
ডায়াবেটিসের চিকিৎসাঃ- অন্যান্য অসুখের মত ডায়াবেটিস রোগ সমুলে নির্মুল করা যায় না। অনেকের ধারনা ঔষধ খেলে ডায়াবেটিস রোগ কমে যায় আর ডায়াবেটিস হয়না। এটি একটি ভুল ধারনা। ডায়াবেটিস সমূলে নির্মুল হওয়ার মত কোন অসুখ নয়। একে নিয়ন্ত্রন করে রাখতে হয়। ডায়াবেটিসের চিকিৎসা মানেই হল একে কিভাবে নিয়ন্ত্রন রাখা যায় তার উপায় রোগীকে এবং রোগীর পরিচর্যাকারি পারিবারিক সদস্যদের শিক্ষা দেয়া। যেভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন করা যায়ঃ- ? ডাক্তারের পরার্মশ মুতাবেক (১) খাদ্য পরিকল্পনা (২) কায়িক পরিশ্রম বা শরীর চর্চা বা ব্যায়ম (৩) মুখে খাওয়ার ঔষধ, প্রয়োজনে ইনসুলিন ইনজেক্সন নেয়া (৪) নিয়মিত ডাক্তারের পরের্মশ নেয়া ও সেই অনুযায়ী চলা।
ডায়াবেটিস রোগ কিভাবে নিশ্চিত হবেনঃ- ডায়াবেটিস রোগ নিশ্চিত হওয়ার জন্য রোগের লক্ষনগুল ভালভাবে পর্যবেক্ষন করতে হবে, জানতে হবে পারিবারিক বা বংশীও রোগের ইতিহাস, ওজন ও উচ্চতা জেনে নিয়ে ঠিক করতে হবে বিএমআই সুচকের নিধারিত অবস্থান,এসকলের সমন্নয়ে যদি প্রাথমিকভাবে ধারনা করা ডায়াবেটিস রোগে ভোগতে পারেন তবে রক্তের কিছু পরিক্ষা করতে হবে। (১) Fasting and Random blood sugar: follow up by (2) Oral Glucose Tolerance Test .আধুনিক বিশ্বে সরাসরি HbA1C পরিক্ষা করে রোগ নির্ণয় করা হয়। আমাদের মত অনুন্নত দেশে এখনও এ পরিক্ষাটি রোগ নির্ণয়ের জন্য করা হয় না। ডায়াবেটিস রোগ নিশিত হওয়ার পর আর কিছু রক্তের পরিক্ষা করতে হয় তা কারন সহ জেনে নেইঃ- (১)Serum Creatinine অত্যন্ত জরুরী একটি পরিক্ষা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যে। অনিয়ন্তিত ডায়াবেটিস রোগের পার্শ্বপ্রতীক্রিয়া হিসেবে ধিরে ধিরে কিডনি বা রক্ত ছাকন যন্ত্র বা প্রস্রাব তৈরির যন্ত্র বিকল হয়ে যায়। যা Serum creatinine এর মাত্রা দেখে নিশ্চিত হওয়া যায়। আবার ডায়াবেটীস নিয়ন্ত্রের জন্য বহুল ব্যবহৃত মেটফরমিন নামক ঔষধ যা Serum creatinine স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশি থাকলে কিডনি বিকল হওয়ার সম্ভবনাকে বহুগুনে বাড়িয়ে দেয়। তাই Serum creatinine মাত্রা অবসই দেখেনিতে হবে এবং যদি এই মাত্র স্বাভাবিক এর চেয়ে বেশী হয় তবে কোন ভাবেই মেটফরমিন নামক ঔষধ ব্যবহার করা যাবেনা। (২)Fasting Lipid Profile -dyslipidemia নিশ্চিত হওয়ার জন্য এ পরিক্ষাও করে নিতে হবে। dyslipidemia থাকলে যেকোন সময় মস্থিকের, হৃদপিণ্ডের অসুখ, রক্ত নালিতে চর্বি জমে রক্ত নালি সংকোচন জনিত অসুখ হওয়ার সম্ভবনা বহু গূন বেড়ে যায়। (৩) ECG হৃদরোগ রোগ প্রথমিক ভাবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য এটি একটি কর্যকারি পরিক্ষা।
ডায়াবেটিসের চিকিৎসাঃ- অন্যান্য অসুখের মত ডায়াবেটিস রোগ সমুলে নির্মুল করা যায় না। অনেকের ধারনা ঔষধ খেলে ডায়াবেটিস রোগ কমে যায় আর ডায়াবেটিস হয়না। এটি একটি ভুল ধারনা। ডায়াবেটিস সমূলে নির্মুল হওয়ার মত কোন অসুখ নয়। একে নিয়ন্ত্রন করে রাখতে হয়। ডায়াবেটিসের চিকিৎসা মানেই হল একে কিভাবে নিয়ন্ত্রন রাখা যায় তার উপায় রোগীকে এবং রোগীর পরিচর্যাকারি পারিবারিক সদস্যদের শিক্ষা দেয়া। যেভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন করা যায়ঃ- ? ডাক্তারের পরার্মশ মুতাবেক (১) খাদ্য পরিকল্পনা (২) কায়িক পরিশ্রম বা শরীর চর্চা বা ব্যায়ম (৩) মুখে খাওয়ার ঔষধ, প্রয়োজনে ইনসুলিন ইনজেক্সন নেয়া (৪) নিয়মিত ডাক্তারের পরের্মশ নেয়া ও সেই অনুযায়ী চলা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন