প্রাণের রেশ
জীবনটাকে ফিরিয়ে নিতে পারতো যদি কেউ,
শৈশবের ঐ দিনগুলিতে মিলতো প্রাণের ঢেউ।
কাক ডাকা ভোরের আলোয় সূর্যি মামার হাসি,
পারতো যদি ফিরিয়ে দিতে রাস্তা খুড়ি আসি।
প্রাণের মায়া হাসির ছায়া কদম গাছের তলে,
আসতো সবাই মিলতো হেথায় নামতো খালের জলে।
সন্ধ্যে হলেই ফিরতে বাড়ি চলতো তাড়াহুড়ো,
বাবার শাসন মায়ের বারণ মানতো ছেলেবুড়ো।
ছুটির দিনে দুপুরবেলা নামতো খালের জলে,
গামছা নামক জালটা নিয়ে ছুটতো মাছের তলে।
কাদা বিহীন বালির জলে ভিজতো সারা গাও,
ফিরতো ঘরে মগটা ভরে ছোট্ট মাছের ছাও।
বৃষ্টি হলেই কাদার মাঠে চলতো প্রাণের খেলা,
কাদা মাখা মাঠের জলে বসতো সবার মেলা।
জীবন নদীর স্রোতের টানে আজ যে কোথায় কে?
হারিয়ে যাওয়া খোঁজ নিতে চাই আমি না হয় সে!!
ছোট্ট বেলার বন্ধুরা সব হারায় স্রোতের টানে,
এখনো তাই খোঁজ করে যাই খোঁজি মন প্রাণে।
গোফ রাখাটাই হেথায় ছিল বড় হওয়ার মানে,
আজ বুঝি তাই বড় হওয়া দ্বায় ভারেরই টানে।
মা-বাবা দু'জনারই ওপারেতে বাস,
স্রোতের টানে নিজেরাও আজ গুনছি দু'চার মাস।
ছোট্টবেলার দিনগুলি যে ফুরিয়ে গেছে বেশ,
গুনছি বসে বাড়ছে বয়স হারছে প্রাণের রেশ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন