রবিবার, ৪ জুন, ২০১৭

জ্বর যখন টাইফয়েড

জ্বর যখন টাইফয়েড

অনুন্নত দেশগুলোতে টাইফয়েট এবং প্যারাটাই ফয়েড নামক জ্বর রোগ এর প্রকোপ খুব বেশী সাল্মোলেনা টাইফি এবং সালমোনেলা প্যারাটাইফি নামক জীবানু যদি পায়খানার সাথে মিশে থাকে এবং যেকোন উপায়ে এটি খাবারেরে সংস্বর্শে আসে তবেই আ রোগ ছড়ায়। আর অধিক মাত্রায় জ্বর (১০১ - ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) জ্বর এর অন্যতম প্রধান কারন এটি যা সকল স্থানের পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা ভাল সে সকল স্থানে এ রোগের প্রকোপ ও কম।

কারন কি - জীবানুর নাম সালমোনেলা টাইফি এবং সালমোনেলা প্যারাটাইফি এবং বি১ এদের bacilli কোথায় থাকে - টাইফয়েড জ্বর দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার পর সূস্থ্য হয়ে গেলেও এদের জীবানুর মানষের পিওথলীতে জমা থাকতে পারে দির্ঘ দিন পর্যন্ত। এবং এখান থেকে পায়খানার সাথে ধিরে ধিরে বের হয় কিন্তু প্রস্রাবে সুপ্তকাল বা ঘুমন্তকাল ইনকিউবেশন প্রিয়ড ১০ - ১৪ দিন পর্যন্ত।

প্যাথলজি কি - রোগতত্ত্বঃ রক্তে জীবান্যর উপস্থিতির (ব্যাকটেরিয়া) কিছু দিনপর সালমোনেলা চাইকীর বাসিলাই খুদ্র জীবানু গুলো ক্ষুদ্রান্তের লিমফয়েড টিসুতে জমা হতে থাকে। এর পোয়াসপ্যাক (peyers patchse) নামক স্থানে ক্ষত তৈরি করে এবং দানাদার পলিফলের মতে ফোসকা পরে। এরপাএন্টা ফোলে মোটা হয় প্রথমে এরপর ঘাঁ বা আলসার হয় অবার শুকিয়ে যায়। যদি জীবানুর প্রকোপ বেশী হয় তবে তা ক্ষুদ্রান্তের ওয়ালে ছিদ্র করে ফেলে এবং এর থেকে রক্তক্ষরন হয়।



রোগের লক্ষন - রোগের লক্ষন অনুযায়ী রোগকে ৩ বার ৪ সাপ্তাহ অনুযায়ী আলোচনা করা হল বোঝায় সুবিধার জন্য। প্রথম সপ্তাহ - ১। জ্বর ১০১-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত থাকে জ্বর কখন ও শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় নামবে না (৯৮৪ ডিগ্রি ফা) প্রতিদিন মানে ২৪ ঘন্টায় ১ ডিগ্রি বাড়বে বা কমবে কখানও স্বাভাবিক হবে না জ্বরের এধরনেকে টাইফয়েডার ফ্যাশন বলা  হয়। ২। কোষ্ট্যকাঠিন বা রক্ত পায়খানা হবে ৩। রিলেটিভ ব্রাডিকার ভিয়া হবে - এটি আবার কি ? সাধারনত ১ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে পালস রেইট বা নাড়ীর গতির তেমন কোন পরিবর্তন হবে না ১০ বিট প্রতি মিনিটে বৃদ্ধি না পেয়া কমতেও পারে। ৪। শরীর ব্যাথা অনুভুতি বাড়বে। ৫। মাথা ব্যাথা হবে। ৬। বুকের নিচের অংশে এবং পেটের উপরের অংশের সংযোগস্থলে লাল লাল দাগ পড়বে যাকে বেড় বোজ স্বট বলে। ৭। জিহ্বার ঠিক মাঝ খানটা শুকনো থাকবে এবং চারপাশ ভেজা থাকবে ৮। সিকাল গারগেলিং - যার মানে হল রাইট ইলিয়াক ফাসা পেটের একটি অংশে ডান হাত দিয়ে চাপ দিলে কচুরিপানা একটি আরেকটির উপর দিয়ে গড়িয়ে গেলে যে রকম শব্দ হয় হাতের সেই অনুভুতি অনুভব করা যায়। দ্বিতীয় সাপ্তাহ - ১। জ্বর আগের মতোই থাকবে কোন পরির্বতন হবে না। পায়খানাটা দেখতে ডালের পালির মতো পাতলা হবে এবং তাতে মটরের দানার মতো পায়খানা এখানে সেখানে ছড়ানো থাকবে। একে পিয়া সোপ ডায়রিয়া বলে। ৩। নাড়ীর গতি পরিবর্তন হার টেকিকারজিয়ায় যার মানে হলো নাড়ীর গতি ১০০ বিট প্রতি মিনিটে এর বেশী হবে। ৪। রেড বোজ স্পট থাকবে না। ৫। লিভার বড় হয়ে যাবে ৬। স্বীন বড় হয়ে যায়। ৭। লিভার একাই বড় হতে পারে বা স্তীন বড় হতে পারে ৮। পেট ফোলে যাবে ৯। আইলিয়াম বা ক্ষুদ্রান্তের বড় হতে পারে ৮। পেট ফোলে যাবে ৯। আইলিয়াম বা ক্ষুদ্রান্তের একটি অংশের সালমোনেলার দ্রুত এবং অটিক পরিমানে বৃদ্ধি পাওয়ার ওসাল ছিদ্র হয়ে যায় এবং বন্ধক্ষরন হয়। রোগী শকে চলে যাবে বা অজ্ঞান হয়ে যাবে। তৃতীয় সাপ্তাহ - ১। জ্বর আগের মতোই থাকবে ২। রোগী শক এ থাকবে যার মানে হল ক) রোগী অজ্ঞান থাকবে খ) নাড়ীর গতি পাওয়া যাবে না। গ) রক্তচাপ পরিমান করা যাবে না। ঘ) রোগীর শরীরের বক্ষ চামড়া ভেজা কাপড়ে হাত দিলে যা অনুভুতি পাওয়া যায় তার মতো হবে তাকে ফোল্ড ক্লামি ইস্কন বলে। এ চারের সমন্বয় ঘটলে তার একে বলা হয়। শক ৩। পেট ফোলা থাকবে। চতুর্থ সপ্তাহ - রোগী মারা যাবে।

নিশ্চিত হওয়ার জন্য কি করবেন -

অভিজ্ঞ চিকিৎসক রোগের লক্ষন পর্যালোচনা করে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করতে পারেন এ রোগের কথা। এবং সাথে সাথে চিকিৎসা শুরু করা কোন দেরী করবেন না। নিশ্চিত হওয়ার জন্য কিছু পরীক্ষা করা হয় তাহল বা এ BASU বাসু মানে হল ১ম সপ্তাহে Blood test - blood culture ২য় সপ্তাগ - widal test তৃতীয় সপ্তাহ stool এবং unine.

চিকিৎসা করবেন কিভাবে - ?

একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক চিকিৎসা নিতে হবে চিকিৎসক যদি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন তবে দেরী না করে সাথে সাথে ভর্তি হয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে হবে। অনেক সময় অপারেশনের ও প্রয়োজন হয় তাই ভর্তি হতে বিলম্ব করা যাবে বা অন্যথায় রোগীর জীবনের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

কিভাবে প্রতিরোধ করবেন -

১। পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থার উন্নতি করতে হবে

২। খাবার তৈরির উপকরন পরিস্কার পানিতে ভালভাবে ধুয়ে ব্যবহার করতে হবে।

৩। নোংরা এবং অসুস্থ কর পরিবেশে রান্না করা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

৪। খাবার খাওয়ার আগে ও পরে পায়খানার পর হাত ভালভাবে ধোয়ে নেয়ার অভ্যাস গড়তে হবে।

৫। ঘন বসতি পূর্ন এলাকায় থাকা এড়িয়ে চলতে হবে।

৬। যারা ভ্রমনকারী তারা টাইফইয়েড প্রকোপ দেশ ভ্রমনের আগে ভ্যাক্সিনের আওতায় থাকতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

শুভঙ্করের ফাঁকি

শুভঙ্করের ফাঁকি কন্যা তুমি ধর্ষিতা হও এটাই সমাজ চায়! বলতে পারো তা না হলে বিচার কি সে পায়? হিংস্র দানব জন্মে মানব সুযোগ পেলেই হায় ...