সত্যিই জীবনের হুমকি ! Rabies বা জলাতঙ্ক
বোন হালিমা বাড়িতে নেই খোঁজ করেও তাকে ফিরিয়ে আনা যাবে না। আজ থেকে প্রায় ১৭ বছর আগে সবাইকে অনেক কষ্ট দিয়ে, যন্ত্রনা দিয়ে, এক জনের পক্ষে যত ধরনের যন্ত্রনা কষ্ট বেদনা দেয়া সম্ভব তা তার পরিবারের সকল সদস্যকে দিয়ে, সে সবাইকে স্বস্তি দিয়ে এ সুন্দর পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে। যাওয়ার সময় কাউকে দায়ীও করে যায় নি। নীরবে চলে গেছে।শুধু আমাদের জানিয়ে গেছে কবিরাজ-ঝাঁরফুঁক-তাবিজটুনা আর গ্রাম্য মুরব্বীর পরামর্শ না নিয়ে অন্তত্য একজন এমবিবিএস ডাক্তারের পরামর্শ নিলে আজ এ করুন মৃত্যু তাকে মেনে নিতে হতো না। আর নাড়ীছেড়া প্রানের ধন অবুঝ শিশুদের ও এতিম করে নিষ্টূর ভাবে চলে যেতে হতো না।
২০০১ সালের ঘটনা, বরমচালের এক ২৫-২৬ বছর বয়সী গৃহিনী গৃহস্থলীর কাজের প্রয়োজনে ঘরের বাইরে সন্ধার দিকে বের হয়েছিল। পথে একটি পাগল কুকুর তাকে কামড় দেয়। কামড়ের ক্ষত চিহ্নও তার শরীরে ছিল,ঝড়েছিল তাঁজা রক্ত। পরিবারের সদস্যরা তাকে কিন্ত ভূল করেও এমবিবিএস ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় নি। সপ্তাহ দুয়েক পর যখন হালিমার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে থাকল তখন পরিবাররের লোকজন তাকে এমবিবিএস ডাক্তারের কাছে নিয়ে আসল। ডাক্তার তার মুখের লালাঝড়া, প্রচন্ড পানিপানের ইচ্ছা,আর অন্যকে কামর দেয়ার প্রবণতা পর্যালোচনা করে জানিয়ে দিলেন জলাতঙ্ক রোগ হয়েছে তারাতারি সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে। পরিবারের সদস্যরা ১৫ দিন আগে যে কাজ করার কথা ছিল ১৫ দিন পর তা করল, তাকে নিয়ে আসা হল এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ইমার্জেন্সী বিভাগে। অবাক সেদিন ডাক্তারদের ঢল নেমেছিল এক নজর হালিমাকে দেখার জন্য। ডাক্তার -নার্স প্রস্তুত,প্রস্তুত ঔষধ ও কিন্তু হালিমা সবাইকে ফাকি দিয়ে ও পারে চলেগেল কয়েকদিন চিকিৎসা নেয়ার পর। কতটা করুন মৃত্যু ছিল তা বোঝানোর কোন ভাষা কারও নেই, প্রচন্ড পিপাসার্থ অবস্থায় পানি মুখে নিয়ে পান করা তার ভাগ্যে জুটেনি। গ্রামের কবিরাজ মুরব্বি-তান্ত্রিক নামক প্রতারকরা সেদিনও তার দায়িত্ব নেয় নি,আজও তারা সমাজে প্রতারনার মায়াজ্বালে মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে বহাল আছে। হালিমার জন্য তাদের কোন অনুভূতিই নেই।
২০০১ সালের ঘটনা, বরমচালের এক ২৫-২৬ বছর বয়সী গৃহিনী গৃহস্থলীর কাজের প্রয়োজনে ঘরের বাইরে সন্ধার দিকে বের হয়েছিল। পথে একটি পাগল কুকুর তাকে কামড় দেয়। কামড়ের ক্ষত চিহ্নও তার শরীরে ছিল,ঝড়েছিল তাঁজা রক্ত। পরিবারের সদস্যরা তাকে কিন্ত ভূল করেও এমবিবিএস ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় নি। সপ্তাহ দুয়েক পর যখন হালিমার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে থাকল তখন পরিবাররের লোকজন তাকে এমবিবিএস ডাক্তারের কাছে নিয়ে আসল। ডাক্তার তার মুখের লালাঝড়া, প্রচন্ড পানিপানের ইচ্ছা,আর অন্যকে কামর দেয়ার প্রবণতা পর্যালোচনা করে জানিয়ে দিলেন জলাতঙ্ক রোগ হয়েছে তারাতারি সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে। পরিবারের সদস্যরা ১৫ দিন আগে যে কাজ করার কথা ছিল ১৫ দিন পর তা করল, তাকে নিয়ে আসা হল এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ইমার্জেন্সী বিভাগে। অবাক সেদিন ডাক্তারদের ঢল নেমেছিল এক নজর হালিমাকে দেখার জন্য। ডাক্তার -নার্স প্রস্তুত,প্রস্তুত ঔষধ ও কিন্তু হালিমা সবাইকে ফাকি দিয়ে ও পারে চলেগেল কয়েকদিন চিকিৎসা নেয়ার পর। কতটা করুন মৃত্যু ছিল তা বোঝানোর কোন ভাষা কারও নেই, প্রচন্ড পিপাসার্থ অবস্থায় পানি মুখে নিয়ে পান করা তার ভাগ্যে জুটেনি। গ্রামের কবিরাজ মুরব্বি-তান্ত্রিক নামক প্রতারকরা সেদিনও তার দায়িত্ব নেয় নি,আজও তারা সমাজে প্রতারনার মায়াজ্বালে মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে বহাল আছে। হালিমার জন্য তাদের কোন অনুভূতিই নেই।