রবিবার, ৪ জুন, ২০১৭

সত্যিই জীবনের হুমকি ! Rabies বা জলাতঙ্ক

সত্যিই জীবনের হুমকি ! Rabies বা জলাতঙ্ক


বোন হালিমা বাড়িতে নেই খোঁজ করেও তাকে ফিরিয়ে আনা যাবে না। আজ থেকে প্রায় ১৭ বছর আগে সবাইকে অনেক কষ্ট দিয়ে, যন্ত্রনা দিয়ে, এক জনের পক্ষে যত ধরনের যন্ত্রনা কষ্ট বেদনা দেয়া সম্ভব তা তার পরিবারের সকল সদস্যকে দিয়ে, সে সবাইকে স্বস্তি দিয়ে এ সুন্দর পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে। যাওয়ার সময় কাউকে দায়ীও করে যায় নি। নীরবে চলে গেছে।শুধু আমাদের জানিয়ে গেছে  কবিরাজ-ঝাঁরফুঁক-তাবিজটুনা আর গ্রাম্য মুরব্বীর পরামর্শ না নিয়ে অন্তত্য একজন এমবিবিএস ডাক্তারের পরামর্শ নিলে আজ এ করুন মৃত্যু তাকে মেনে নিতে হতো না। আর নাড়ীছেড়া প্রানের ধন অবুঝ শিশুদের ও এতিম করে নিষ্টূর ভাবে চলে যেতে হতো না।
২০০১ সালের ঘটনা, বরমচালের এক  ২৫-২৬ বছর বয়সী গৃহিনী গৃহস্থলীর কাজের প্রয়োজনে ঘরের বাইরে সন্ধার দিকে বের হয়েছিল। পথে একটি পাগল কুকুর তাকে কামড় দেয়। কামড়ের ক্ষত চিহ্নও তার শরীরে ছিল,ঝড়েছিল তাঁজা রক্ত। পরিবারের সদস্যরা তাকে কিন্ত ভূল করেও এমবিবিএস ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় নি। সপ্তাহ দুয়েক পর যখন হালিমার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে থাকল তখন পরিবাররের লোকজন তাকে এমবিবিএস ডাক্তারের কাছে নিয়ে আসল। ডাক্তার তার মুখের লালাঝড়া, প্রচন্ড পানিপানের ইচ্ছা,আর অন্যকে কামর দেয়ার প্রবণতা পর্যালোচনা করে জানিয়ে দিলেন জলাতঙ্ক রোগ হয়েছে  তারাতারি সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে। পরিবারের সদস্যরা ১৫ দিন  আগে যে কাজ করার কথা ছিল ১৫ দিন পর তা করল, তাকে নিয়ে আসা হল এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ইমার্জেন্সী বিভাগে। অবাক সেদিন ডাক্তারদের ঢল নেমেছিল এক নজর হালিমাকে দেখার জন্য। ডাক্তার -নার্স প্রস্তুত,প্রস্তুত ঔষধ ও কিন্তু হালিমা সবাইকে ফাকি দিয়ে ও পারে চলেগেল কয়েকদিন চিকিৎসা নেয়ার পর। কতটা করুন মৃত্যু ছিল তা বোঝানোর কোন ভাষা কারও নেই, প্রচন্ড পিপাসার্থ অবস্থায় পানি মুখে নিয়ে পান করা তার ভাগ্যে জুটেনি। গ্রামের কবিরাজ মুরব্বি-তান্ত্রিক নামক প্রতারকরা সেদিনও তার দায়িত্ব নেয় নি,আজও তারা সমাজে প্রতারনার মায়াজ্বালে মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে বহাল আছে। হালিমার জন্য তাদের কোন অনুভূতিই নেই।

জ্বর যখন টাইফয়েড

জ্বর যখন টাইফয়েড

অনুন্নত দেশগুলোতে টাইফয়েট এবং প্যারাটাই ফয়েড নামক জ্বর রোগ এর প্রকোপ খুব বেশী সাল্মোলেনা টাইফি এবং সালমোনেলা প্যারাটাইফি নামক জীবানু যদি পায়খানার সাথে মিশে থাকে এবং যেকোন উপায়ে এটি খাবারেরে সংস্বর্শে আসে তবেই আ রোগ ছড়ায়। আর অধিক মাত্রায় জ্বর (১০১ - ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) জ্বর এর অন্যতম প্রধান কারন এটি যা সকল স্থানের পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা ভাল সে সকল স্থানে এ রোগের প্রকোপ ও কম।

কারন কি - জীবানুর নাম সালমোনেলা টাইফি এবং সালমোনেলা প্যারাটাইফি এবং বি১ এদের bacilli কোথায় থাকে - টাইফয়েড জ্বর দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার পর সূস্থ্য হয়ে গেলেও এদের জীবানুর মানষের পিওথলীতে জমা থাকতে পারে দির্ঘ দিন পর্যন্ত। এবং এখান থেকে পায়খানার সাথে ধিরে ধিরে বের হয় কিন্তু প্রস্রাবে সুপ্তকাল বা ঘুমন্তকাল ইনকিউবেশন প্রিয়ড ১০ - ১৪ দিন পর্যন্ত।

প্যাথলজি কি - রোগতত্ত্বঃ রক্তে জীবান্যর উপস্থিতির (ব্যাকটেরিয়া) কিছু দিনপর সালমোনেলা চাইকীর বাসিলাই খুদ্র জীবানু গুলো ক্ষুদ্রান্তের লিমফয়েড টিসুতে জমা হতে থাকে। এর পোয়াসপ্যাক (peyers patchse) নামক স্থানে ক্ষত তৈরি করে এবং দানাদার পলিফলের মতে ফোসকা পরে। এরপাএন্টা ফোলে মোটা হয় প্রথমে এরপর ঘাঁ বা আলসার হয় অবার শুকিয়ে যায়। যদি জীবানুর প্রকোপ বেশী হয় তবে তা ক্ষুদ্রান্তের ওয়ালে ছিদ্র করে ফেলে এবং এর থেকে রক্তক্ষরন হয়।

ডায়াবেটিস রোগের দ্বারা সৃষ্ট রোগ

ডায়াবেটিস রোগের দ্বারা সৃষ্ট রোগ
ডায়াবেটিস ও চক্ষুরোগ

যে সকল সুস্থ সবল স্বাভাবিক মানুষ চোখ রোগের কারনে অন্ধত্যবরন করেন, তাদের প্রায় ২০-২৫ ভাগ রোগীই ডায়াবেটিস দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকেন। ৩০ বছর বয়সের পর রোটিন চেকআপ করানোর প্রচলন আমাদের দেশে, যা এতটা গুরুত্ব দিয়ে করা হয় না যার ফলে অধিকাংশ রোগীই জানে না তিনি যে ডায়াবেটিস এ ভুগছেন। স্বাভাবিক ডায়াবেটিস রোগ শুরু হওয়ার সময় থেকে ১০ বছর এর মধ্যেই চোখের অসুবিধা দেখা দেয় দৃষ্টি শক্তির অনেক পরির্বতন ঘটে। অবহেলা করে অনেকেই এর প্রতি কোন গুরুত্ব দেন না অথচ অন্ধ্যত্যের অন্যতম প্রধান কারন হল ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিস হলে চোখের রেটিনা নামক অংশটি ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হতে থাকে যার ক্রমধারা গুলো হলো - ১। নন-প্রলিকারেটিভ বেকগ্রাউন্ড রেটনাপ্যাথি উথঅউট মেকুলোপ্যাথি ২। ম্যাকুলাপ্যাথি ৩। প্রি-প্রলিকারেটিভ রেটিনোপ্যাথি ৪। প্রলি ফারোটিভ রেটিনোপ্যাথি। সব কথার শেষ কথা রোগীর চোখ দেখার ক্ষমতা লোপ পায়। যদি সিমাপল বেকগ্রাউন্ড রেটিনোপ্যাথি হয় তবে কোন চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না তবে প্রি-প্রলিফারেটিভ, প্রলিফারেটিভ এবং মেকুলোপ্যাথিক রেটিনোপ্যাথি হয় তহলে রেটিনাল লেজার ফটোকয়াগোলেশন নামক চিকিৎসা নিতে হয়। আর যদি ভিট্রিযাস এ রক্তক্ষরন জনীত কবলে দৃষ্টি শক্তি লোপ পায় তবে ভিট্রিকটমি নামক অপারেশন করতে হয় তা না হলে রোগী চির দিনের মত অন্ধত্য লাভ করে। তাই ডায়াবেটিস যাদের আছে তাদের খুব নিয়মিতান্ত্রিক দৈনন্দিন জীবনাচরনে অভ্যস্থ হয়ে ডায়াবেটিস নিয়নন্ত্রে রাখতে হবে অন্য থায় চিরদিনের মতো অন্ধত্বের শিকার হতে বাধ্য।

শুভঙ্করের ফাঁকি

শুভঙ্করের ফাঁকি কন্যা তুমি ধর্ষিতা হও এটাই সমাজ চায়! বলতে পারো তা না হলে বিচার কি সে পায়? হিংস্র দানব জন্মে মানব সুযোগ পেলেই হায় ...